কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

করোনা শনাক্ত ১০ হাজার ৯০৬, হার ৩১% এর ওপরে

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে নারী ৮ জন, পুরুষ ৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন ঢাকায় মারা গেছেন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ২ জন করে এবং বরিশাল, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ১ জন করে মারা গেছেন। রাজশাহীতে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৮২ জন। মোট ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ২২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন।
করোনার নতুন ধরন অমিক্রন দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার এই ধরন খুব দ্রুত ছড়ায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বাড়ছে। দেশে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত এক সপ্তাহে (১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি) রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ।

এমন পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।

গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০-এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এ সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায় ১০ জানুয়ারি। এর চার দিনের মাথায় ১৪ জানুয়ারি দৈনিক রোগী শনাক্ত ৪ হাজার ছাড়ানোর তথ্য আসে। এরপর এক সপ্তাহ না যেতেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

করোনার বিস্তার রোধে সরকার আবার বিধিনিষেধ দিয়েছে। আজ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অংশ নেওয়া যাবে না এবং এসব ক্ষেত্রে যাঁরা যোগদান করবেন, তাঁদের অবশ্যই টিকার সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সনদ আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকার সনদ গ্রহণ করতে হবে।

এ ছাড়া মসজিদ, বাজার, শপিং মল, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সব ধরনের জনসমাগমস্থলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদারক করবে।

পাঠকের মতামত: